শক্তিশালী টাইফুন ভংফং সোমবার সকালে জাপানে আঘাত হেনেছে। ভংফং মানে হচ্ছে ভীমরুল। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ এবং আরও অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। টাইফুনের কারণে তিন শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভারি বর্ষণ এবং ঝড়ো বাতাস বইছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুনটি। সোমবারের আঘাতে এখন পর্যন্ত টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ৪৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দ্বীপ কাইসুর মাকুরাজাকিতে টাইফুন ভংফং আঘাত হানে। এর প্রভাবে ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় তীরে আছড়ে পড়ে। মাকুরাজাকির দুর্যোগ প্রতিরোধ কার্যালয়ের কর্মকর্তা নাওকি জোমোরি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, মাকুরাজাকিতে একটি বাড়ির ছাদ ও দেয়াল ভেঙে পড়েছে এবং বিশাল বিশাল ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। এটি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে জাপান দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ এটি কান্টো অঞ্চলে অবস্থান করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়। আবহাওয়া সংস্থা দ্বীপপুঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিশাল ঢেউ, ব্যাপক বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কবাণী ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য হুশিয়ার করেছে। জাপানের কেন্দ্রস্থলের শিঝৌকায় রোববার বিকালে মাছ ধরার সময় তিন ব্যক্তি ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়। এর মধ্যে দুজনকে অক্ষত উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানায়। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনের শেষদিকে কানসাই অঞ্চল এবং জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে সব লোকাল সার্ভিস স্থগিতের পরিকল্পনা রয়েছে। জাপানের বিমান সংস্থা কমপক্ষে ৩৭২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেও দেশটিতে একটি গ্রীষ্মম-লীয় ঝড় আঘাত হেনেছিল। এতে ১১ জনের প্রাণহানি বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে জাপানের মাউন্ট ওনতাকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় কমপক্ষে ৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিবিসি, এসিসিইউ ওয়েদার।