২০১৪ -র নোবেল শান্তি পুরষ্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ভারতের শিশু অধিকার রক্ষাকর্মী কৈলাস সত্যার্থী ও পাকিস্তানের নারী শিক্ষাকর্মী মালালা ইউসুফজাই। কিন্তু কে এই কৈলাস সত্যার্থী? যিনি সাহস দেখালেন। আর বিশ্ব পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখলেন। প্রচারের আলোয় নয়। নিরবে-নিভৃতে এ এক হার না মানার লড়াই।
কৈলাস সত্যার্থী, বয়স ৬০ বছর। জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৫৪। মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় বাস। এক ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার গল্প “কৈলাস’। কীভাবে যেন ২৬ বছর বয়সে হয়ে উঠেছিলেন শিশুদের আওয়াজ। ১৯৮৩ সালে তিনি সংগঠিত করেন “বচপন বাঁচাও’ আন্দোলন। শিশুদের অধিকারের জন্য লড়াই। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আর সেই লড়াই প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে খোলা আকাশের সাধ দিয়েছে। কলকারাখার কালো ধোঁয়া আর মেশিন ঘরের অন্ধকারের নাগপাশ থেকে মুক্তি দিয়েছে শৈশবকে। শিশুপাচার চক্রের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিল কৈলাস। শিশু শ্রমিকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধেও আওয়াজ ওঠান তিনি।
যে সমস্ত কারখানায় শিশুদের কাজ করানো হয়। সেই সমস্ত কারখানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নিয়ে হানা দিয়েছেন নিজেই। তাঁর আন্দোলনের বড় সফলতা “রাগমার্ক’। সাধারণত কার্পেট নির্মাণ শিল্পের মূল কারিগর শিশুরাই। রাগমার্ক চালু হওয়ার পর বাজারজাত কার্পেটগুলো শিশুশ্রম বর্জিত কী না, তা বোঝা যেত। এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক স্তরেও শিশুদের অধিকার বোঝাতে সাহায্য করেছে।
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সত্যার্থী টুইট করেছিলেন, “একজন চা-ওয়ালা যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাহস দেখাতে পারেন। তাহলে এখন এটা তাঁর দায়িত্ব এদেশে কাউকে জোর করে শিশু শ্রমিক বানানো হবে না।”