Harvardমুদির ছেলের বিশ্বজয়! গুজরাটের আমরেলি জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট্ট মুদির দোকান চালান বাবা। সেই দরিদ্র পরিবারের ছেলেটিই এখন বিশ্বের অন্যতম অভিজাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে পুরস্কার নিতে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে স্থান পেয়েছে তার দীর্ঘ গবেষণার ফসল এইচআইভি নিয়ে একটি প্রোজেক্ট। সম্মান হিসেবে পাচ্ছে হার্ভার্ডের বিডব্লুএইচ ব্রাইট ফিউচার প্রাইজ। পুরস্কার মূল্য ১ লক্ষ ডলার।

ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী ছিল খেতানি। গুজরাটের আমরেলি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ধারাগানিতে বাবার মুদির দোকান। অত্যন্ত গরিব পরিবার। বাবার স্বপ্ন ছিল, ছেলে মুদির দোকানে বসবে না। উচ্চশিক্ষিত হয়ে খ্যাতি অর্জন করবে। তার বয়স যখন চার, তখন সে মুম্বাই পাড়ি দেয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে সেখানেই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সেই সময়ই বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভালোবেসে ফেলে ছেলেটি। প্রবল পড়াশোনা শুরু করে ওই বিষয়ের উপর। সুলতানের কথায়, ‘আমি সব এমন কিছু আবিষ্কার করতে চাইছিলাম, যেখানে মেশিন ও মানুষের শরীর সম্পৃক্ত থাকবে।’

chardike-ad

সুলতান গবেষণা চালিয়ে এমন একটি ফ্লেক্সিবল মাইক্রোচিপ আবিষ্কার করে, যা ডায়াগনোসিসের সময় এইচআইভি ভাইরাস চিহ্নিত করতে পারবে।

অর্থাৎ ওই মেশিনের সাহায্যেই যে কোনও ব্যক্তি তাঁর শরীরে এইচআইভি-র জীবানু আছে কি না, তা সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রোজেক্টের গবেষণাপত্রটি সে হার্ভার্ড পাঠায়। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে চূড়ান্ত তিনটি প্রোজেক্টের মধ্যে স্থান পায় সুলতানের এইচআইভি নিয়ে গবেষণাপত্রটি। মঙ্গলবারই পুরস্কার নিতে সুলতান পাড়ি দিয়েছে মার্কিন দেশে।