Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

health tipsসামনে কোরবানির ঈদ। তাই শহরে কিংবা গ্রামে সর্বত্রই গবাদিপশুর ছড়াছড়ি। কোরবানির পর দেশজুড়ে এসব পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থ অনেক সময়ই খোলা স্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে জেনে রাখা ভালো_ এসব বর্জ্য ও উচ্ছিষ্ট থেকে ছড়াতে পারে নানা রোগব্যাধি। এসব বর্জ্য থেকে বিষাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই কোরবানির পর সবারই এসব বর্জ্য নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য থেকে ছড়ানো নানা রোগজীবাণু থেকে মুক্তি পেতে তাই কিছু পরামর্শ দেয়া হলো_

*কোরবানির বর্জ্য মাটিতে পুঁতে রাখাই ভালো; কিন্তু যারা শহরে থাকেন, তাদের পক্ষে কোরবানির বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই এ বর্জ্যগুলো ব্যাগে ভরে ডাস্টবিনে বা এলাকার একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সিটি করপোরেশনের গাড়ি খবর দিয়ে সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলুন।

chardike-ad

* গ্রামে যারা কোরবানি দিচ্ছেন তারা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গর্ত করে বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলুন।

* যে জায়গাটিতে কোরবানি সম্পন্ন হয়েছে বিশেষ করে সেখান থেকে দ্রুত পানি দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারের পর সে স্থানে ডেটল, স্যাভলন অথবা বিস্নচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।

* কোরবানির দিন অনেকেই শখের বসে বছরে একদিন গোশত কাটতে লেগে যান। যারা গোশত কাটতে আগ্রহী তারা আগে থেকেই হাতের কাছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক, তুলা ও ব্যান্ডেজ রাখুন। কারণ গোশত কাটতে গিয়ে যখন-তখন দুর্ঘটনা হতে পারে, তখন সেগুলো আপনার কাজে লাগবে।

* গোশত বিলি-বণ্টন শেষে হাতটি ভালোভাবে সাবান ও জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

* শিশুদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাই তাদের কোরবানির গোশত, রক্ত ও বর্জ্য থেকে দূরে রাখুন।

* কোরবানিতে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।

লেখক- জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও গবেষক