বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী যেসব মন্তব্য করেছেন, তার খেসারত তাকে দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সরকার তা নেবে। তাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, উনাকে রাখবো না, উনি মন্ত্রিসভায় থাকবেন না।”
নিউ ইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফেরার পর এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে চলমান বিতর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান। শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি অবিবেচকের মতো কথা বলে সেটা নিশ্চয়ই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের কারণে সরকার বেকায়দায় পড়েনি, উনিই বেকায়দায় পড়েছেন। এর খেসারত উনাকে দিতে হবে।
উল্লেখ্যে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা গত কয়েকদিন ধরেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। তাকে দলের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় হজ্ব নিয়ে বিতর্কিত কিছু মন্তব্যের জের ধরে বাংলাদেশে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগে তার শাস্তি দাবি করে শুক্রবারও ঢাকায় কিছু ইসলামী সংগঠন বিক্ষোভ করেছে।
রাষ্ট্রপতি ফিরলে ব্যবস্থা
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া এবং অপসারণের কিছু নিয়ম আছে। হয় তাকে পদত্যাগ করতে হবে, অথবা তাকে অপসারণ করা হবে। লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ না করলে তার বিরুদ্ধে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি এবং কেবিনেট সচিব দুজনেই হজ্বে আছেন। তাই তারা ফিরলেই এই লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, এজন্যে ফাইল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।