তিন সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল, শরীর-গতিক মোটেও ভালো নেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। বৃহস্পতিবারের পরে সে অনুমান বিশ্বাসেই পরিণত হলো। কারণ নিজেরই ডাকা পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে এদিন আসেননি উন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল প্রশাসনের ধারণা, ‘চিজ-নেশায়’ আক্রান্ত উত্তর কোরিয়ার শাসকের শরীরের হাল বেশ খারাপ। এবং সে কারণেই এই অনুপস্থিতি।
তবে সবই অনুমান। কারণ সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি উন-প্রশাসন। তবে কিম জং উনের বাবা উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক কিম জং ইল যে দামি ফরাসি ব্র্যান্ডি এবং সুস্বাদু রান্নার তীব্র ভক্ত ছিলেন সে কথা মোটামুটি গোটা বিশ্ব জানে। এবং অনেকেরই দাবি, যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের জেরে ইলের হঠাৎ-মৃত্যু, তার উৎসও ব্র্যান্ডি এবং খাবারে তীব্র আসক্তি। সে কথা মাথায় রাখলে কিম জং উনের এই চিজ-আসক্তি অবিশ্বাস্য কিছু নয়। বিশেষত ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর চিজের ওপর নির্ভরতা আরও বেড়ে যায় উনের। অনেকেরই ধারণা, ক্ষমতার চাপ কাটাতেই চিজ খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফল? মারাত্মক ওজনবৃদ্ধি। কিছু দিন আগের এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ঠিক ভাবে হাঁটতেও পারছেন না উত্তর কোরিয়ার এই বিতর্কিত প্রশাসক। অনেকেরই দাবি, মাত্রাতিরিক্ত মেদের জেরেই শরীরের এ হেন অবস্থা।
তবে একাংশের ধারণা, উনের শরীরে মেদের এই বাহুল্য ইচ্ছাকৃত। কারণ তার দাদা কিম টু-সাং বেশ মোটাসোটা ছিলেন। হয়তো তা-ই দাদার মতো মোটাসোটা থাকতে চান তিনি। যাতে সাংয়ের সঙ্গে তার মিল খুঁজে পান উত্তর কোরিয়াবাসী। লক্ষ্য একটাই। আনুগত্য বাড়ানো।
কারণ যা-ই হোক, উনের এই অনুপস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে শত্রু-মিত্র দু’পক্ষেরই। মিত্ররা ভাবছেন, উনের এই অনুপস্থিতি তার প্রশাসনকে দুর্বল করে দেবে না তো? আর শত্রুদের চিন্তা, এত দিন আড়ালে থেকে কোন বিরোধীকে নৃশংস শাস্তি দেওয়ার ছক কষছেন তিনি? উত্তর নেই। অপেক্ষা শুধু কিম জং উনের। -সংবাদ সংস্থা।