চাঁদে মানুষ পাঠানো ছিল নাসার শুরুর দিকের কাজ। এখন আর এ নিয়ে ব্যস্ত নয় মহাকাশ গবেষণাকারী এ সংস্থাটি। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে শহর গড়ার স্বপ্ন দেখছে নাসা। এজন্য চলতি সব প্রকল্প তুলে দিচ্ছে অন্য হাতে।
কয়েক দশক ধরে যে স্পেস শাটল প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত ছিল এ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি, সম্প্রতি সেই স্পেস শাটল প্রোগ্রাম তারা তুলে দিয়েছে বোয়িং আর স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশনের (স্পেসএক্স) হাতে। কারণ মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থাটি।
শুধু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে নাসার স্পেস শাটলগুলো উড়েছে ১৩৫ বার। স্পেস শাটল প্রোগ্রাম ছিল নাসার গৌরব। সেটা কেন বোয়িং আর স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া? এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন। তাদের মতে, আরও উত্তেজনাকর নতুন কোনো অভিযানে নামতে চাইছে নাসা। কী এ অভিযান:
নাসার পরিচালক চার্লস বোল্ডেন জানান, আমরা এমন কয়েকটা মিশন শুরু করব যা হবে ইতিহাসে প্রথম। প্রথমবারের মতো পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া কোনো গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ করা, প্রথমবারের মতো মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথের ওপারে পাঠানো। হয়তোবা মহাশূন্যেই চাষাবাদের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নিজের খাবার তৈরিতে সক্ষম হবেন নাসার মহাকাশচারীরা। এর সবকিছুই মঙ্গল অভিযানে বড় প্রভাব ফেলবে, যা হবে মানব সভ্যতার জন্য একটা বড় পদক্ষেপ।
তবে নাসার একার পক্ষে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্পেসএক্স উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। সরকারি তহবিলের ওপর নির্ভর করে মঙ্গলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শহর বানানো নাসার পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ‘মহাকাশ পর্যটন শিল্প’ দাঁড় করাতে উঠেপরে লেগেছে স্পেসএক্স এবং বোয়িং। নাসার সঙ্গে স্পেস শাটল মিশন নিয়ে নতুন চুক্তিতে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল প্রতিষ্ঠান দুটি। -ইন্টারনেট