Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চির কুমারের তালিকা থেকে নাম কেটে বিয়ে করছেন ৬৭ বছর বয়সী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ খবর এখন পুরনো। নতুন খবর হচ্ছে, তিনি বিয়ের পর হানিমুন করবেন রেল ভ্রমণ করে। রেলমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে হানিমুনের চেয়ে রেলের কামরায় হানিমুনই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে হয়।

railway ministerরোববার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনার ‘চলতে চলতে…’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেলমন্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

chardike-ad

রেল ভবনের আঙ্গিনায় ধারণকৃত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক কথা বলেন। তিনি জানান, একজন খাঁটি কৃষকের ছেলে তিনি। আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পেশায় তিনি একজন আয়কর আইনজীবী। এ পেশায় তিনি বেশ দক্ষতা অর্জন করেছেন। মন্ত্রিত্ব শেষে মন্ত্রী আবার আয়কর আইনজীবী হিসেবে কাজ করবেন।

ব্যক্তিগত ও রাজনীতি প্রসঙ্গে বিভিন্ন কথা বললেও হবু স্ত্রী সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি রেলমন্ত্রী।

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলমন্ত্রী জানান, হবু বধূ তার আত্মীয়। তার পাশের উপজেলাতেই বাড়ি। শেষ বয়সে নিজের একাকিত্ব ঘোচাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আত্মীয় হলেও তিন বছর ধরে পাত্রীকে ভালোভাবে চেনেন।

মন্ত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কনের নাম হনুফা আক্তার রিক্তা। তার বয়স ২৯। রিক্তা ২০০০ সালে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দুল্লাই ইউনিয়নের মিয়াখোলা গ্রামে তাদের বাড়ি। তবে রিক্তা রাজধানীর ফার্মগেটে থাকেন। তার বাবার নাম মৃত হামিদুল্লাহ মুন্সী। তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হলেও কয়েক মাসে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

এর আগে জাতীয় সংসদের এক অধিবেশনে একজন এমপি রেলমন্ত্রীকে চিরকুমার বলে সম্বোধন করার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তাকে চিরকুমার বলা ঠিক হচ্ছে না। বিয়ে করেননি বলে কখনো করবেন না এমন নয়।

রেলমন্ত্রী জানান, বিয়ে উপলক্ষে ডিসেম্বরে ঢাকা ও কুমিল্লায় অনুষ্ঠান হবে। হবু বধূর পরিচয় জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পাত্রী মাস্টার্স ডিগ্রি পাস। তিনি আইন পাসও করেছেন। বিয়ের পর আইন পেশায় যাওয়া পাত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। মন্ত্রী জানান, নিঃসঙ্গ না থাকার জন্য শেষ বয়সে একজন সঙ্গী দরকার, তাই তিনি বিয়ে করছেন। নতুনবার্তা।