সর্ববৃহৎ স্বর্ণ খনিটি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। গভীরতায় এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার খনি। সম্প্রতি মাইনিং টেকনোলজি মজুদ স্বর্ণের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ খনির তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রথম পাঁচটি নিয়ে প্রথম পর্ব—
গ্রাসবার্গ
১৯৮৮ সালে আবিষ্কার হয় গ্রাসবার্গ খনি। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের এ খনিতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহৎ স্বর্ণের মজুদ। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এতে মজুদ ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার আউন্স স্বর্ণ। ১৯৯০ সালে স্বর্ণের আকরিক উত্তোলন শুরু হয়। খনিটি পরিচালনা করে ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরান কপার অ্যান্ড গোল্ডের (এফসিএক্স) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়া (পিটিএফআই)। গ্রাসবার্গ পরিচালনার ৯০ দশমিক ৬৪ শতাংশ দখলে রয়েছে পিটিএফআইয়ের। বাকি অংশ সরকারের। ২০১২ সালে গ্রাসবার্গ থেকে শ্রমিকরা সংগ্রহ করেন ৮ লাখ ৬২ হাজার আউন্স স্বর্ণ। এ সময় দিনে ১ লাখ ৬৫ হাজার টন আকরিক প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ২০২২ সালের মধ্যে তা ২ লাখ ৪০ হাজার টনে ঠেকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাউথ ডিপ
সাউথ ডিপ খনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এখানে স্বর্ণের মজুদ ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ আউন্স। ২০০০ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন এরিয়াস গোল্ড মাইন নামেই এটি পরিচিত ছিল। খনি পরিচালনা শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ২০০৬ সালে সাউথ ডিপ খনিটির মালিকানা পায় গোল্ডফিল্ড। পরিচালনায়ও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালে উত্তোলন হয় ২ লাখ ৭০ হাজার আউন্স স্বর্ণ। ২০১৬ সালের মধ্যেই বার্ষিক ৭ লাখ আউন্স স্বর্ণ উত্তোলন লক্ষ্য। খনি থেকে স্বর্ণের আকরিক উত্তোলন কার্যক্রম ২০৯২ সাল পর্যন্ত চলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লিহির
পাপুয়া নিউগিনির নিউ আয়ারল্যান্ড প্রভিন্সের এ খনিতে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মজুদ ছিল প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ আউন্স স্বর্ণের আকরিক। ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু হওয়া এ খনির বর্তমান মালিক ও পরিচালক লিহির গোল্ড মাইন। পাপুয়া নিউগিনির অর্থবছর শুরু হয় প্রতি বছরের জুলাইয়ে। গত বছরের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে খনি থেকে সংগ্রহ হয় ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪০ আউন্স স্বর্ণ। আগামীতে প্রতিষ্ঠানটির স্বর্ণের বার্ষিক উত্তোলন ১২ লাখ আউন্সে পৌঁছবে, এমনটিই আশা করা হচ্ছে।
অলিম্পিয়াডা
২০১২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত অলিম্পিয়াডা খনিতে মজুদ ছিল ৩ কোটি ১ হাজার আউন্স স্বর্ণের আকরিক। খনিটির মালিক ও পরিচালক পলিয়াস গোল্ড। ১৯৯৬ সালে প্রথম খনির কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২ সালে অলিম্পিয়াডা থেকে ৬ লাখ ৫৩ হাজার আউন্স স্বর্ণ সংগ্রহ করেন শ্রমিকরা।
পুয়েবলো ভিয়েজো
ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সান্তো ডমিনগোতে রয়েছে পুয়েবলো ভিয়েজো খনি। ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এখানে মজুদ ছিল আড়াই কোটি আউন্স স্বর্ণ। মালিকানা ও পরিচালনায় রয়েছে পুয়েবলো ভিয়েজো ডমিনিকানা করপোরেশন (পিভিডিসি)। পিভিডিসি যৌথভাবে পরিচালনা করে বারিক গোল্ড ও গোল্ডকরপোরেশন। গত বছরের জানুয়ারিতে খনিটিকে বাণিজ্যিক উত্তোলনের আওতায় আনা হয়। ২০১৩ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) উত্তোলন হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার আউন্সের বেশি স্বর্ণ। পুরো বছরে উত্তোলন ছাড়িয়ে যায় ৮ লাখ আউন্স। খনিটির জীবনসীমা ২৫ বছরেরও বেশি। সূত্রঃ ইন্টারনেট।