কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সৈকতের অদূরে ১০০ শতক এলাকাজুড়ে ঢাবির এই নতুন ক্যাম্পাসে আধুনিক গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণ কক্ষের পাশাপাশি থাকবে সেমিনার ও কনফারেন্স হল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আবাসিক সুবিধাও। গত ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কক্সবাজারের জেলা প্রসাশক মো. রুহল আমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শ‘খানেক শিক্ষক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামীউল আলম।
প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইন্সটিটিউট থেকে হাজারো শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে যান। এছাড়া জীববিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলো থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গবেষণা এবং ফিল্ডওয়ার্কের জন্য সেখানে যান। এসব শিক্ষা সফর এবং গবেষণা কার্যক্রম সহজলভ্য করতে ও গবেষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ইমদাদুল হক গত বছর কক্সবাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এরই ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে সমুদ্র সৈকতের সন্নিকটে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ১০০ শতক উঁচু নিষ্কন্টক জায়গা ক্রয় করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে আবেদন করে স্বল্প খরচে এই কেন্দ্রের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে উদ্যোক্তাগণ আশা করা হচ্ছে।