সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আত্মঘাতি হামলা চালানো দুই যুবক রয়েছে। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড ইরভিন একথা জানান এবং একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, গুপ্তচরবৃত্তি ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপের হুমকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্যানবেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৬০ নাগরিক দেশের বাইরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো জিহাদী গ্রুপে যোগ দিয়েছে।
সিরিয়র সৈন্য হিসেবে যুদ্ধ করা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক খালেদ শারউফের সিডনিতে বেড়ে ওঠা তার পুত্রের সাথে তোলা ছবি টুইটারে প্রকাশ পাওয়ায় এ নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ইরভিন বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি যোদ্ধা কাজ করছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকের সংখ্যা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এসিআইও) মনে করে নিরাপত্তার সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টিকারী এসব নাগরিককের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
ইরভিন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৬০ যোদ্ধা জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার পৃষ্ঠপোষকতায় ইরাক বা সিরিয়ায় গড়ে ওঠা জাহাবাত-আল-নুসরা ও ইসলামিক স্টেটের হয়ে যুদ্ধ করছে।
ইরাভিন বলেন, আমাদের ধারণা সিরিয়া ও ইরাকে চলা সংঘাতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ নাগরিক নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আত্মঘাতি দুই যুবক রয়েছে।