Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ার বন্দর নগরী ইনছন। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে সবসময় থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। ইনছনের বেশ কয়েকটি এলাকায় বসবাস করছে প্রচুর বাংলাদেশী প্রবাসীরাও। এই শহরের শত শত দ্বীপ রয়েছে। ইনছনের দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত দুটো দ্বীপ সম্পর্কে বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

উওলমিদো: উওলমিদো মানে অর্ধচন্দ্রাকার। দ্বীপের আকৃতির উপর ভিত্তি করেই এমন নামকরণ। ইনছনের উপকূল থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে উওলমিদোর অবস্থান। দ্বীপটি একটি মহাসড়কের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত রয়েছে। সিউলের নিকটবর্তী হওয়ায় এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা থাকায় কোরিয়ানদের কাছে উওলমিদো ছুটির দিনের একটি প্রধান গন্তব্যই বলা যায়।

chardike-ad

koreaদ্বীপের উল্লেখযোগ্য স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে ডুডল পিলার, মিটিং স্কয়ার, আর্টস স্কয়ার, পারফরম্যান্স স্কয়ার, গুড হার্ভেস্ট স্কয়ার, উওলমি পার্ক, ওয়াটার ফাউন্টেন ইত্যাদি। গোটা এলাকাজুড়েই চলে রকমারি প্রদর্শনী। চাইলে ভ্রাম্যমাণ শিল্পীদের দিয়ে নিজের একটা ছবিও আঁকিয়ে নিতে পারেন। সড়কের দু’ পাশে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে সামুদ্রিক ও সাধারণ খাবারের অনেকগুলো রেস্তোরা। নৌকোয় করে দ্বীপের চারপাশে প্রমোদভ্রমণেরও সুযোগ রয়েছে।

koreaউওলমিদোতে গিয়ে যেখানে না ঘুরলেই নয় সেটি হল ‘প্লে হিল’ নামের একটি থিম পার্ক। কোরিয়ার অন্যান্য থিম পার্কের মতো অতো বড় না হলেও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। অ্যাপোলো ডিসকো আর ভাইকিং রাইডের রোমাঞ্চ পেতে কোন এক ছুটির দিনে চলে যেতে পারেন।

যেভাবে যাবেন: সাবওয়ে ট্রেনে করে ইনছন স্টেশনে (সিউল সাবওয়ে লাইন ১) নেমে স্টেশন থেকে বেরিয়েই বাস স্টপেজ পাবেন। ২, ১৫, ২৩, ৪৫ নং রুটের সব বাসই উওলমিদো যায়।  স্টেশন থেকে ট্যাক্সিতেও যাওয়া যাবে।

খাংহোয়াদো: এটি পশ্চিম সাগরে অবস্থিত কোরিয়ার পঞ্চম দীর্ঘতম দ্বীপ। ৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলবিশিষ্ট সর্বমোট ২৮ টি দ্বীপ নিয়ে খাংওয়াদো গঠিত যার মধ্যে ১১ টিতে মানুষ বসবাস করে এবং ১৭ টি জনমানবহীন। খাংহোয়া সংযোগ সেতু এটিকে এখন অনেকটাই মূল ভূখণ্ডের অংশ করে নিয়েছে।

koreaপ্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষের বসবাস থাকায় এখানে প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের দেখা মিলবে। পাবেন ওয়ার্ল্ড’স কালচালার ট্রেজারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গইন্দল পাথর। গইন্দল সমাধিতে রয়েছে খাংহোয়াদোর শাসকদের কবর। পাওয়া যাবে কোরিয়ার গোড়াপত্তনকারী দানগুনওয়াংগমের কিছু স্মৃতি, যার জীবনকালকে কোরিয়ার জন্মলগ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানিসান পর্বতের চামসংদান বেয়ে চূড়ায় পৌঁছুতে পারলে পশ্চিম সাগর এবং পুরো দ্বীপটি দেখা যাবে। বলা হয়ে থাকে এই চূড়াতেই দানগুন স্বর্গকে উৎসর্গ করে ধর্মীয় আচারাদি পালন করতেন।

খাংহোয়ায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বেশ কিছু পন্য পাওয়া যাবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেষজ গুণসমৃদ্ধ খাংহোয়া জিনসেং, আজব স্বাদের বিশুদ্ধ খাংওয়া মূলা এবং ফুলের নকশায় জটিল কারুকাজে বোনা কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী হোয়ামুনসক শিল্পকর্ম।

সাপ্তাহিক বন্ধের দিন: মঙ্গলবার

যেভাবে  যাবেন:
# সাবওয়ে ট্রেনে সিনছন ষ্টেশনে (সিউল সাবওয়ে লাইন ২) নেমে ১ নং গেট দিয়ে বের হয়ে মিনিট পাঁচেক হাটলে জিএস২৫ কনভেনিয়েন্স ষ্টোর পাবেন। এর সামনে থেকে ৩০০০ বা ৩১০০ নং বাসে চড়ে বসলেই খাংওয়া আন্তঃনগর বাস টার্মিনালে পৌঁছে যাবেন। বাস পাওয়া যাবেঃ- প্রথমটি ভোর ৫টা ৪০ থেকে রাত ১১টা ২০ পর্যন্ত (১৫ – ২০ মিনিট অন্তর) ও দ্বিতীয়টি ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা ৫০ পর্যন্ত (১৫ – ২০ মিনিট অন্তর)।

# কোরিয়ান ট্রেন এক্সপ্রেসে (কেটিএক্স) চড়ে ইয়ংদোংপো স্টেশনে নামুন। ১ ও ৮৮নং বাস খাংওয়া আন্তঃনগর বাস টার্মিনালে পৌঁছে দেবে। বাস পাওয়া যাবেঃ- ভোর ৫টা ৩০ থেকে রাত ১১টা ৪০ (১৫ – ২০ মিনিট অন্তর) ভোর ৫টা ৩০ থেকে রাত ১১টা ৪০ (দেড়-দুই ঘণ্টা অন্তর)।