Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়া যুদ্ধের পর যেসব দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিকের স্বজনরা উত্তর কোরিয়ায় রয়ে গেছেন তাঁদের জীনগত তথ্যাবলী সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। দেশটির ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। পৃথক হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রনালয়ের তরফে জানানো হয়। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

এমন একটি তথ্যভাণ্ডারের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের হলেও প্রথমবারের মতো তা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বয়সের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১২শ নাগরিক জীন পরীক্ষার সুযোগ পাবেন এবং এসব তথ্য ডাটাবেস আকারে সংরক্ষণ করা হবে।পরবর্তীতে দুই কোরিয়ায় বিভক্ত হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর সাক্ষাতের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে এসব তথ্য যাচাই করা হবে।

chardike-ad

মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র কিম উই দো বলছিলেন কেন তাঁদের এই উদ্যোগ, “বেশী দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আমরা স্বজনদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া বয়স্ক কোরিয়ান নাগরিকদের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী নথিভুক্ত করতে চাই।”

AEN20140822006000315_01_i
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪। উত্তর কোরিয়ার কুমখাংয়ে পুনর্মিলন শেষে স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার হৃদয় বিদারক দৃশ্য। ছবিঃ ইয়নহাপ নিউজ।

সরকারি হিসেব মতে, উত্তর কোরিয়ায় পরিবার-স্বজন রয়েছে এমন জীবিত দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিকের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৬৯ হাজার ৮৬৬ যাদের ৮১ শতাংশেরই বয়স সত্তরের বেশী। ১৯৮৮ সালে কোরিয়ান সরকার কর্তৃক এ ধরনের পরিবারগুলোর তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তাঁদের প্রায় অর্ধেকই প্রিয়জনের শেষ দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

দুই কোরিয়ায় ভাগ হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করার এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিউল কর্তৃপক্ষ উত্তরে অবস্থানরত স্বজনদের দশ মিনিট করে ভিডিও বার্তা তৈরি করে আনারও চেষ্টা করবে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে বিভক্ত হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর সদস্যরা একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।

পুনর্মিলন উৎসবসহ আন্তঃ কোরিয়া ইস্যুগুলোতে দূরত্ব কমানোর অব্যাহত প্রচেষ্টার ধারাবিকতায় এ সপ্তাহেও সিউলের তরফে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। তবে বরাবরেই মতোই পিয়ংইয়ং তাতে কোন সাড়া দেয় নি।