দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর দু’জন ড্রাফটি (বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণার্থী) সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সিউলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বাসা থেকে সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে মহানগর পুলিশ। এ নিয়ে চলতি বছরে কোরিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্তব্যরত সদস্যদের আত্মাহুতির সংখ্যা দাঁড়ালো ছেচল্লিশে।
সেনাবাহিনী সূত্র বলছে ২৮তম পদাতিক ডিভিশনের সদস্য ২৩ ও ২১ বছর বয়সী ওই দুই কর্পোরাল সামরিক জীবনে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না এবং উভয়েই সংস্থাটির ‘বিশেষ পরিচর্যা’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
সেনাদ্বয়ের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ জনের সোমবার কাজে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেন নি। অপরজনেরও এই সপ্তাহে কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল। একটি চিরকুটে কনিষ্ঠজন লিখে গেছেন, “এটা সহ্য করা কঠিন। আমি কিছু করতে পারছি না।” একই ইউনিটের একজন সিনিয়র সদস্যের ব্যাপারে কটূক্তি করে ওই চিরকুটে আরও লেখা ছিল, “আমি তাকে হত্যা করতে চাই!”
সেনাসূত্র আরও জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সীজন গত বছর ব্যারাকে থাকাকালীন সময়েও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় সেনা কর্তৃপক্ষ তাকে নির্ধারিত সময়ের আগেই সেনা প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই তরুণের অভিভাবকের আপত্তির মুখে সেটা করা সম্ভব হয় নি।
সেনা সদরদপ্তরের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চলছে। “তাদেরকে কোনভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে”, বলছিলেন ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরিয়ান সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে আত্মহননের ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো বছর ৭৯ জন ড্রাফটি আত্মহত্যা করেন।