সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এ্যান্নেল লিনেহাল কেনি শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, এ জন্য তার দেশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর (উচ্চ শিক্ষা) বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রদূত আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ কথা বলেন।

pm with sweden ambassadorবৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ সময় সহস্রাব্দ উন্নয়ন (এমডিজি) লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত কেনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব সাফল্যে আপনার (শেখ হাসিনা) প্রশংসা করছে।”

chardike-ad

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে অর্জিত বাংলাদেশের সাফল্যের উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার বিশেষ করে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে ও আত্ম-কর্মসংস্থানে সহায়তা করতে নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।”

প্রাথমিক স্তর থেকে পাবলিক পরীক্ষা চালু, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ যোগাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, বৃত্তি ও ভাতাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, “এসব উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আমরা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ব্যাপকসংখ্যক মহিলা ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে (ইউআইএসসি) কাজ করছে। স্থানীয় সরকারে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনেরও বিধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূল সত্বেও বাংলাদেশের গড় ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুইডেনকে বাংলাদেশের ভাল বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে দেশটি হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।