ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান শনিবার গাজায় ৩০ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপরদিকে গাজার যোদ্ধারা ইসরাইলে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধ বিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। গাজার জরুরি সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আল-মাগাজি শিবিরে এক বিমান হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং নুসাইরাও শিবিরের আল-কাসাম মসজিদেও ধ্বংস্তূপ থেকে অপর তিনটি লাশ বের করা হয়েছে।ফিলিস্তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান নুসাইরাত, জাইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় একটি করে মোট তিনটি মসজিদ ধ্বংস করেছে। তিনটির মধ্যে অন্তত দু’টি হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়।অপরদিকে ইসরাইল বলেছে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা শনিবার ইসরাইলে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এ নিয়ে শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরাইলে গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪-এ।
শুক্রবার রকেট হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক ও এক ইসরাইল সৈন্য আহত হয়েছে। তবে কেউ আহত বা কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইসরাইল বলেছে তারা শুক্রবার থেকে গাজায় প্রায় এক শ’টি হামলা চালিয়েছে। যার ৩০টি মধ্যরাত থেকে। ফিলিস্তিনি হাসপাতাল সূত্র জানায়, যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার পর নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় ১০ জন নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট অন্তত ১৯শ’ফিলিস্তিনি এবং ৬৭ জন ইসরাইলী নিহত হয়েছে। নিহত ইসরাইলীদের প্রায় সকলেই সৈন্য। জাতিসংঘ বলেছে, ৮ জুলাই থেকে নিহত ফিলিস্তিনিদের এক হাজার তিন শ’৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক যাদের মধ্যে ৪৪৭টি শিশু রয়েছে।