তোবা গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রকিমদের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি শনিবার দেশের সব পোশাক কারখানায় ধর্মঘট ডেকেছে। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচীর কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তোবা গ্রুপসহ দেশের সব গার্মেন্টের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, তোবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দোলোয়ার হোসেনের জামিন বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শ্রমিকদের ছাঁটাই-নির্যাতন, হামলা-মামলা, দমননীতি বন্ধের দাবি এবং আন্দোলনরত নেতাদের গ্রেপ্তার ও শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
ধর্মঘট সফল করতে শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী, মাওনা, মিরপুর, তেজগাঁওয়ে পথসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্মিলেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করা হয়, “পথসভায় পুলিশ লাঠিপেটা করে ব্যানার কেড়ে নিয়েছে এবং এতে অনেক পোশাকশ্রমিক আহত হয়েছেন।”
এর আগে ৫ অাগস্ট বাড্ডার হোসেন মার্কেটে তোবার কারখানায় অনশনরত তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু শনিবার সারাদেশের শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ঈদের আগের দিন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ অনশনের পর তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানার শ্রমিকদের আংশিক বকেয়া পরিশোধের ঘোষণা দেয় গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ’র ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের একটি অংশ অনশন অব্যাহত রাখলে বৃহস্পতিবার তোবার কারখানা ভবনে ঢুকে অনশনকারীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশুসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করলেও ওই দিন রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাংলানিউজ২৪.কম।