বাহাত্তর ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীকে গাজায় প্রচণ্ড হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই রকেট হামলায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়টি একটি টুইটার বার্তায় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ওই বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে হামাসের হামলার জবাবে প্রচণ্ডভাবে পাল্টা হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বার্তায় আরো বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী’রা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এদিকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরো বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেও হামাসের দিক থেকে এ বিষয়ে কোন ঘোষণা আসেনি। ফিলিস্তিনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ইসরাইল ফিলিস্তিনের দাবিগুলো অগ্রাহ্য করে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরো বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, দাবি মানার বিষয়ে ইসরাইল গড়িমসি করলে আমরা যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়াবো না।
ইসরায়েলি কোনো সেনা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফিলিস্তিন অধিকৃত গাজা উপত্যকায় প্রবেশ না করলেও বেশ কিছু এলাকায় ইতোমধ্যেই হামলা চালানো শুরু হয়ে গেছে বলে ইসরায়েলি বাহিনীর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলো। ওদিকে ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলছে, গাজার উত্তরে জাবালিয়া এলাকা, গাজা শহর ও ফিলিস্তিনি ছিটমহলের কেন্দ্রস্থলে আজ ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া গাজার পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে কামানের গোলা ছোড়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। তাত্ক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ইসরায়েল-হামাস ৭২ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয় যা শুক্রবার সকালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাজা থেকে রকেট হামলার জের ধরে বরাবরের মতোই শেষের আগেই আবারও শুরু হয়ে গেলো কথিত যুদ্ধের নামে নির্বিচারে গনহত্যা।