Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধূূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ক্যান্সারের কারণ। এমন ভয়াবহ সতর্কবার্তা স্বয়ং সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ ধূমপানে অভ্যস্থ। নানান কারণে ধূমপান শুরু করলেও কেউ ছাড়তে চাইলে একই রকম সমস্যার মুখোমুখি হয়। সহসা ধূমপান পরিহার অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। অনেকেই বলেন মনের জোর খাটাতে পারলে ধূমপান ত্যাগ সম্ভব। আপনি জেনে অবাক হবেন, কিছু খাদ্য ধূমপান পরিহার করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।

যারা ধূমপান করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, খাবারের পর ধূমপান করার ইচ্ছা আরো বেশি করে জাগে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি খাদ্যের কথা বলা হবে সেগুলো আপনার ধূমপানের ইচ্ছাকে প্রশমিত করবে। চলুন জেনে নিই…

chardike-ad

দুধঃ
দুধের এমন একটি স্বাদ যা ধূমপানের আকাঙ্খা তৈরি না করে বরঞ্চ এটার প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি করে। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা জাগলে এক গ্লাস দুধ পান করুন। আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিনত হবে। ধূমপান পরিহার করতে চাইলে নিয়মিত তরল দুধ পান করবেন। উপরন্তু ইহা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

10606388_669151436510546_5836766786108018279_nফলমূলঃ
বিভিন্ন প্রকার ফলমূল খেলে ধূমপানের আসক্তি কমে। এক্ষেত্রে টক ফলমূল যেগুলোতে ভিটামিন সি আছে, সেগূলো অত্যন্ত কার্যকর। এর প্রকৃত কারণ, ধূমপান করলে দেহে ভিটামিন সি সঞ্চিত হতে পারে না, এর ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ধূমপানের চাহিদা তৈরি হয়। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেলে দেহে এর অভাব হবে না। ফলশ্রুতিতে ধূমপানের চাহিদা কমে যাবে। এছাড়া গাঁজর সহ অনেক রকম কাঁচা সবজিও ভাল কাজ করে।

লবণাক্ত খাবারঃ
লবণাক্ত খাবার ধূমপানের ইচ্ছা তাৎক্ষণিক দূর করে। চিপস, আচার ও অন্যান্য লবণযুক্ত খাদ্য ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরি। এছাড়া সামান্য কাঁচা লবণ খেয়ে দেখতে পারেন। ইহা ধূমপান বিরোধী কার্যক্রম চালায়।

মিষ্টি খাবারঃ
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলেও ধূমপানের ইচ্ছা বেড়ে যায়। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বাড়ায়। এতে ধূমপানের ইচ্ছা কমা অবশ্যম্ভাবী। তাই ধূমপানের ঝোঁক উঠলে মিষ্টি খাবার খাবেন।

সুইংগামঃ
মুখকে কোন ভাবে ব্যস্ত রাখতে পারলে ধূমপানের পরিমান কমে যাবে। আর মুখকে ব্যস্ত রাখতে সুইংগামের চেয়ে ভাল আর কি আছে! তাই ধূমপান ত্যাগ করা সিদ্ধান্তের প্রথম দিকে সর্বদা সুইংগাম চিবান।

এভাবে খাবারের বদৌলতে ছেড়ে দিতে পারেন ধূমপানের মত বাজে অভ্যাস। বেঁচে যেতে পারেন ক্যান্সারের হাত থেকে। কিছুদিনের অভ্যাসেই এর ফল পেতে শুরু করবেন।