ভিটামিন ‘সি’মানবদেহের কোষগুলোকে ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে রক্ষা করে। কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ভিটামিন ‘সি’।
ওরেগন হেলথ ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দোওার্নবেচ শিশু হাসপাতালের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যেসব নারী গর্ভাবস্থায় ধূমপান ত্যাগ করতে ব্যর্থ, তারা প্রতিদিন ভিটামিন-সি গ্রহণ করলে নবজাতকের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বয়সের ওপর নির্ভর করে ভিটামিন ‘সি’গ্রহণ করা উচিত।
শিশু: ১-৩ বছরের মধ্যে ১৫ গ্রাম, ৪-৮ বছরে ২৫ গ্রাম, ৯-১৩ বছরে ৪৫ গ্রাম দিনে ।
বয়ঃসন্ধিকাল: মেয়েরা ১৪-১৮ বয়সে ৬৫ গ্রাম দিনে, গর্ভবতীদের ৮০ গ্রাম, ১৪-১৮ বয়সী ছেলেদের ৭৫ গ্রাম দিনে।
প্রাপ্তবয়স্কদের: পুরুষ ১৯ বছরের ঊর্ধ্বে ৯০ গ্রাম, নারী ১৯ বছরের ঊর্ধ্বে ৭৫ গ্রাম দিনে, গর্ভবতী নারীদের ৮৫ গ্রাম দিনে।
আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি বজায় রাখার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টকজাতীয় ফল এবং সবুজ সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন সি খাওয়া উচিত।
কাঁচামরিচ: প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচে ২৪২.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে।
পেয়ারা: একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় ১২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ব্রকোলি: প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকোলিতে ৯৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
পেঁপে: প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপে ৬৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
লিচু: ১০০ গ্রাম লিচুতে ৭৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
টমেটো: এক কাপ টমেটো জুসে ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
কমলালেবু: কমলালেবুর রসে ৪৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৪৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। বণিকবার্তা।