Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sleeping_positionsপ্রতিদিনের জীবনে গবেষণা চালিয়ে মানুষের চরিত্র, ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণের চেষ্টাটা নতুন নয়। বলা হয়ে থাকে একজন মানুষের প্রতিটা অভিব্যক্তিই তাঁর ব্যাপারে কোন না কোন ধারণা দেয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণার উপর ভিত্তি করে এবার একদল  ব্রিটিশ গবেষক ঘুমানোর ভঙ্গিতে মানুষের ব্যক্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করেছেন। সবচেয়ে বেশী মানুষ ঘুমায় এমন ছয়টি ভঙ্গিমার ব্যাপারে গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের জন্য ভাবানুবাদে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হল।

মাতৃগর্ভের শিশুর মতো

chardike-ad

1গবেষণা বলছে সবচেয়ে বেশী ৪১ শতাংশ মানুষ এই ভঙ্গিতে ঘুমায়। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে মেয়েদের মধ্যে এই ভঙ্গির জনপ্রিয়তা বেশী। এক পাশে কাঁত হয়ে হাঁটু মুড়ে হাতদুটো ভাঁজ করা অবস্থায় যে কুণ্ডলীটা তৈরি হয় সেটাকে গর্ভাবস্থার শিশুর সাথে তুলনা দিলেই ভালো মানায়। এরা সাধারণত লাজুক আর আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। যে কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা আর অহেতুক দুশ্চিন্তা তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

পাশ ফিরে সোজা হয়ে


2
হাত-পা সোজা রেখে যে কোন একদিকে কাঁত হয়ে সটান শুয়ে ঘুমানোর ভঙ্গিটা জনপ্রিয়তার দিক থেকে দ্বিতীয়। এরা স্বভাবচরিত্রে ধীরস্থির, জীবনে
কোনকিছুতেই যেন কোন তাড়া নেই। মিশুক, সামাজিক মানুষগুলো বিশ্বস্তও বটে। তবে দেখতেশুনতে যতোটা সরল মনে হয় তাঁরা মোটেও তা নয়!

পাশ ফিরে হাত দুটো সামনে বাড়িয়ে দিয়ে

3এদের শোয়ার ধরণটা দেখলে মনে হতে পারে অদৃশ্য কোনকিছু বুঝি আঁকড়ে ধরে আছে। তাঁরা সাধারণত কোন ব্যাপারে হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে না। আর একবার যেটা মনঃস্থির করে ফেলে সেটা থেকেও খুব সহজে সরে আসে না।

সোজা চিত হয়ে

4গবেষণার ফল অনুযায়ী হাত দুটো দুপাশে রেখে সোজা চিত হয়ে ঘুমানো মানুষগুলো বেশ দৃঢ় ব্যক্তিত্বের হয়। এরা সহজে উদ্বিগ্ন হয় না। ঠাণ্ডা মেজাজে রক্ষণশীলতা আর রুচির আভিজাত্য মানুষ হিসেবে তাঁদের একটু ভাবগম্ভীরই করে তোলে।

উপুর হয়ে

5মাথা এক পাশে কাঁত করে উপুর হয়ে দু’ দিক থেকে বালিশ আঁকড়ে ধরে ঘুমানোটাকে ভঙ্গি হিসেবে সবচেয়ে কম আরামদায়ক বিবেচনা করা হয়। ব্যক্তিজীবনেও এরা খানিকটা অসুখীই হয় বৈকি! এই ধরনের মানুষেরা সবকিছুতেই নিজের কর্তৃত্ব চায় এবং মাঝেমাঝেই তাঁদের মনে হয় যে চারপাশের কোনকিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই! প্রায় দিনই তাঁদের ঘুম ভাঙে রাজ্যের দুশ্চিন্তা নিয়ে।

তারামাছের মতো

6উপুর হয়ে শোয়া মানুষটাকে স্রেফ উল্টে দিলে যে চিত্রটা দাঁড়াবে সেটাকেই বলা হচ্ছে তারামাছের ভঙ্গী। উদার মনের বন্ধুভাবাপন্ন মানুষগুলো কখনই মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে পছন্দ করে না। শ্রোতা হিসেবে ভালো, প্রয়োজনের সময় পাশে পাওয়া যায়…বুঝতেই পারছেন বন্ধু তালিকায় একজন তারামাছ থেকে থাকলে আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান!

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন চিত হয়ে আর তারামাছের মতো ঘুমানো মানুষেরা বেশী নাক ডাকে; উপর হয়ে ঘুমালে হজম ভালো হয়। শেষ করা যাক সমীক্ষার ছোট্ট আরেকটি তথ্য দিয়ে, চাদর বা লেপ-কম্বল জাতীয় কিছু গায়ে থাকলে বেশীরভাগ মানুষ একটা হাত কিংবা একটা পা বাইরে বের করে ঘুমান। আর প্রতি দশজনে একজন আপাদমস্তক চাদরমুরি দিয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন।