গ্রিসে স্ট্রবেরি সংগ্রাহক হিসেবে কর্মরত ২৮ বাংলাদেশী অভিবাসীকে গুলি করার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় একটি স্ট্রবেরি খামারের মালিকসহ ২ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সে দেশের আদালত। গুলি করার অভিযোগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পরও তাকে ছেড়ে দেয়ার রায়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে গ্রিসে।
রায়ে অপর দুই ব্যক্তিকে গুরুতর হামলা ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে ১৪ বছর ৭ মাস ও ৮ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়। তবে তাদের সামনেও আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিল করা পর্যন্ত তারাও মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করতে পারবে। রায়ে ওই মালিকসহ মোট ২ জনকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়া হয়। রায়ের খবরে আদালত প্রাঙ্গনে অপেক্ষারত বহু বাংলাদেশী অভিবাসী ভীষণভাবে মুষড়ে পড়েন। ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় অনেককে। ওই ২৮ জনের পক্ষে আইনি লড়াই লড়ছিলেন আইনজীবী মোইসিস কারাবেইয়িদিস।
তিনি বলেন, গ্রিসের অধিবাসী হিসেবে আমি লজ্জিত বোধ করছি। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত নিষ্ঠুরতা ও কলঙ্কের। এদিকে এ ঘটনার পর অভিবাসীদের করুণ অবস্থা স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচারিত হতে থাকে। অপ্রত্যাশিত এ রায়ে গ্রিসবাসীও বিস্মিত, ক্ষুব্ধ বলে জানান তিনি। এই রায়ে রাজনীতিবিদ, ইউনিয়নের নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনগুলোও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এ রায়কে বিচার ব্যবস্থার কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে পেলোপোনিজের দক্ষিণাঞ্চলীয় ম্যানোলাডা এলাকায় স্ট্রবেরি সংগ্রাহক ওই ২৮ জন তাদের ৬ মাসের বকেয়া বেতন দাবি করলে স্ট্রবেরি খামারের মালিক ও স্থানীয় কয়েকজন স্ট্রবেরি চাষী ২৮ বাংলাদেশী অভিবাসীকে গুলি করে। গুলিতে ৪ জন গুরুতর আহত হন। সূত্র: অনলাইন গার্ডিয়ান।