ভারত যখনই কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যায় পড়ে, তখনই তার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে—এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ কিংবা অন্যান্য সংকট দেখা দিলে ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, অথচ কোনো ধরনের প্রমাণ দেয় না। এটা তাদের বহুদিনের অভ্যাস।’
বুধবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে ডার বলেন, কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারত কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন না করেই কূটনৈতিক ও চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ওপর একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয় নিয়ে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না। পাকিস্তান এ বিষয়ে একটি শক্তিশালী ও সমন্বিত জবাব দেবে।
পাকিস্তান সরকার বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে ভারতের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা।
ভারতের নেওয়া পাঁচটি বড় পদক্ষেপ হলো—
- সিন্ধু পানিচুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত
- আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ
- পাকিস্তানি নাগরিকদের ১ মে’র মধ্যে ভারতে থাকার অনুমতি বাতিল
- দক্ষিণ এশিয়ার সার্ক ভিসা ছাড়ের আওতায় পাকিস্তানিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
- দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনা। একইসঙ্গে ভারত নিজ দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ থেকে প্রত্যাহার করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের কাশ্মীর অঞ্চলের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ হামলায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, তবে কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।