ঝটিকা পরিদর্শনে আজ শনিবার সকালের দিকে তুরাগ থানায় হাজির হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে অভিযোগ নিয়ে আসা বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বিরল দৃশ্যের অবতারণা করল।
থানায় আনা ওই বৃদ্ধকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সোজাসুজি প্রশ্ন করেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কে মামলা করেছে?’ বৃদ্ধ সাহস করে বলেন, ‘আমার স্ত্রী!’
এতটুকু শুনে উপদেষ্টা একটু ভেবে বললেন, ‘তাহলে, আপনি কয়টা বিয়ে করেছেন?’ বৃদ্ধ কোনো সংকোচ ছাড়াই বললেন, ‘চারটা!’
এরপরই থানায় হাসির রোল। হাসিতে ফেটে পড়লেন উপদেষ্টাও।
তবে উপদেষ্টা থামেননি। তিনি আরও জানতে চাইলেন, ‘স্ত্রীটা কী নিয়ে মামলা করেছেন?’
এর মধ্যে বৃদ্ধও মজা পেয়ে গেছেন। একে তো থানা, তার ওপর স্বয়ং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে! কিন্তু পরিস্থিতি এরই মধ্যে এতটাই ফুরফুরে হয়ে উঠেছে যে বৃদ্ধের সব সংকোচ, ভয় কেটে গেছে। তিনি একটু দুষ্টুমির স্বরেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বললেন, ‘নারী নির্যাতন!’
এ কথা শোনার পর পাশের পুলিশ কর্মকর্তা মজা করে বললেন, ‘এই বয়সে আবার বিয়ে করেছেন কেন?’
বৃদ্ধ এবার তাঁর বিয়ের ফিরিস্তি শোনালেন। তিনি বলেন, প্রথম দুই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তৃতীয়টা ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে, আর যিনি মামলা করেছেন, তিনি সেই ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রী। বৃদ্ধের দাবি, মামলা মিথ্যা!
পুরো ব্যাপারটাতে থানা-পুলিশ, সাংবাদিক—সবাই এতক্ষণ মজাই নিচ্ছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘মামলাটা সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে।’
যাহোক, থানা ভবনে এমন হাস্যরসের ঘটনা খুব কমই ঘটে। এখানে আসে মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে। সবার প্রত্যাশা—অন্যায়, অবিচারের শিকার মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠুক থানা ও পুলিশ।