Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঈদের পরে খালেদা জিয়া ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচিতে ঈমানি দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে নবগঠিত ঢাকা মহানগর কমিটি।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে নবগঠিক কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৈঠকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল কমিটির মোট ৩৭ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিটির বাকি সদস্যরা কেউ অসুস্থ, কেউবা ওমরা পালনে সৌদি আরবে রয়েছেন। আবার কেউ এতেকাফে বসেছেন। সে কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেননি। উল্লেখ্য, মহানগর বিএনপির কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫২।

image_91758বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। সভার আলোচ্য বিষয়গুলো হলো:

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে দেশব্যাপী যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল নিঃসন্দেহে তা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও সে তুলনায় ঢাকায় আন্দোলন জমে উঠেনি। তাই ঢাকা মহানগর নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব উঠে। সেই আলোকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়ির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনকে সুসংহত ও দলকে সুসংগঠিত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে সভার পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়।

সরকারের ‘নির্যাতন-নিপীড়নে’ যেসব নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা, আহতদের আশু সুস্থতা কামনা, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সারাদেশের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার ও কারাবন্দিদের মুক্তি দাবি করা হয়।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার নিন্দা ও অবিলম্বে হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। সবশেষ ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও সংগঠিত করার লক্ষ্যে মহানগরের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ক্রমে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রঃ নতুনবার্তা।