গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্রমঞ্চের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার। আরিফ সাকির পরিচালনায় ও আরফিুল ইসলাম প্লাবনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড.শামছুল আলম, ড. জহিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মহিউদ্দিন হিমেল, সমন্বয়ক নাজমুস সাকিব আব্দুল্লাহ ত্বাকি, তানজিম নাঈমী, আসাদুজ্জামান, শরিফ আমিন প্রমুখ। বক্তারা ‘অবৈধ’ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা নিরীহ নারী ও শিশু হত্যাবন্ধের জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দের নিকট জোর দাবি জানান। কারও কারও বক্তব্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তাও উঠে আসে। বক্তারা বলেন মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অনৈক্য এবং অন্তঃকোন্দলই গাজাসহ বর্তমান মুসলিম বিশ্বের উপর নির্যাতনের অন্যতম কারণ। মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা গেলে এ দুরবস্থা নিরসন সম্ভব হবে বলে মানববন্ধনে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আব্দুল হাই শিকাদর বলেন, শুধু আমেরিকা এবং বিশ্বমোড়ল সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট রাখার জন্য মুসলিমবিশ্ব এত বড় হত্যাকান্ড দেখেও নীরব ভুমিকা পালন করছে। সংগঠনটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্লাবন সমাপনী বক্তব্যে ইসরায়েলকে পৃথিবীর ক্যান্সার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে এই ক্যন্সার প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জুলাই থেকে গাজার নিরীহ নারী ও শিশুদের উপর নির্বিচারে বোমা হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল । হামলা থেকে রেহাই পায়নি স্কুল, কলেজ, মসজিদ এমনকি হাসপাতালও । দুই সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে অব্যাহত হামালায় এ পর্যন্ত অন্তত ছয়শ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যাদের বেশীরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ সময়ে হামাসের পাল্টা আক্রমণে প্রায় পঞ্চাশ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারায়। স্বাধীন ফিলিস্তিনি ভুখন্ডের দাবীকে কেন্দ্র করে ১৯৪৮ সাল থেকে যুদ্ধের নামে এই বর্বর গণহত্যা চলে আসছে।
সূত্রঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস