হিউম্যানস অব নিউইয়র্ক …কেবল একটি ফেসবুক পেইজ বললে আসলে এর তাৎপর্যটা সেভাবে বোঝানো যায় না। প্রতিবার ফেসবুকে লগ ইন করলে স্ট্যাটাস বক্সটি বিরস বদনে ব্যবহারকারীকে জিগ্যেস করে, হোয়াটস অন ইওর মাইন্ড? হুবুহু এভাবে না হলেও অনেকটা এরকমই কোন প্রশ্ন নিউ ইয়র্ক অধীবাসীদের করছেন উল্লেখিত পেইজটির ক্রিয়েটর ব্র্যান্ডন। সঙ্গে নিচ্ছেন প্রত্যেকের একটি করে ছবি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে বিভিন্ন স্তরের মানুষ নিজস্ব দর্শন, চিন্তা, তাৎক্ষণিক অনুভূতি থেকে যে জবাবগুলো দিচ্ছেন সেসব হয়তো কোন মনীষীর বাণী হিসেবে কেউ কোনদিন বাঁধিয়ে রাখবে না; কিন্তু একজন ব্যক্তি আপনি আপনার জীবনের সাথে উক্তিগুলো মিলিয়ে নিতেই পারেন! নিশ্চিত জেনে রাখুন, কোন না কোন দর্শন, কোন না কোন গল্প আপনারটার সাথে মিলে যাবেই! কখনও মনে হবে, ঠিক এভাবেই…হ্যা এভাবেই কোন একটা চিন্তা আপনিও করেছিলেন কিংবা করতে চেয়েছিলেন! তেমনই কিছু উদ্ধৃতি সময়ে সময়ে বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের জন্য বাংলা ভাবানুবাদে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হবে।
সবকিছুতেই নিজের অপমান খোঁজার কাজটা মানুষ একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই বেশী করে। যে ফেসবুক পোস্টটাতে আপনাকে হেয় করা হয়েছে ভাবছেন সেটা তো আসলে অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করেও লেখা হতে পারে! আপনার বন্ধু কোন এক গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে আপনাকে ট্যাগ করে নি? আচ্ছা ভুল তো মানুষেরই হয়! আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না? আরে বাবা মানুষের কি নিজের হতাশা বলে কিছু থাকতে পারে না? সে আপনারই কোন আচরণে মনঃক্ষুণ্ণ এমনটা কেন ভাবছেন?