এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ওসমান পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্যের অংশীদার হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্য। যিনি এখন পরিবারটির বাড়ি, গাড়িসহ সম্পত্তির দেখভাল করছেন।
এক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আরেক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজী। স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে তীব্র বিবাদ থাকায় অংশীদার নির্ধারণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, তাজুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, নসরুল হামিদসহ অনেকে অংশীদার খুঁজছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে থাকা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অনেকে আবার সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সরকারসহ বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ছেন। এ কারণে অনেকেই নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না।’
ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ নেতারা অংশীদার খুঁজছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭০ জনই ছিলেন ব্যবসায়ী, যা দলটির মোট প্রার্থীর ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
খবর: বণিক.বা