যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় মঙ্গলবার ভোরে ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল। ভয়াবহ এ হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩২ জন। হামলায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চলতি বছর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর গাজায় এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। গাজার উত্তরাঞ্চল, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহসহ একাধিক স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার সকালে এ হামলার নির্দেশ দেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন থেকে ইসরাইল আরও বেশি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। এছাড়া গাজায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছে এক সামরিক কর্মকর্তা।
এদিকে, হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেই গাজায় হামলা করেছে ইসরাইল।
ফুরফুরা শরিফের ইফতারে মমতা, দিলেন সম্প্রীতির বার্তাফুরফুরা শরিফের ইফতারে মমতা, দিলেন সম্প্রীতির বার্তা
গাজায় চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে ১০ লাখ শিশুগাজায় চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে ১০ লাখ শিশু
হামাস বলেছে, নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থি সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি উল্টে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে গাজায় আটক থাকা বন্দিদের অজানা পরিণতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় গণহত্যা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা এক লাখ হাজার ছাড়িয়েছে।
গাজায় চলমান এই গণহত্যায় ইসরাইলকে সরাসরি সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া, ইরানের মতো দেশগুলো এ গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।