'ছাত্রলীগের বিদ্রোহীরা বের না হলে আন্দোলন কঠিন হতো'

 

chardike-ad

জুলাই আন্দোলনের সফলতার পেছনে ছাত্রলীগ থেকে বের হয়ে যাওয়া একটি অংশের ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ থেকে বের হয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের আমরা বিদ্রোহী বা বিপ্লবী ছাত্রলীগ বলি। ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশ বের না হলে আন্দোলনটা বড় হতো না।’

শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ আন্দোলন নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এবার সেই জায়গায় আমরা সচেতন ছিলাম। শুরু থেকেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে একটি বোঝাপড়া ছিল, যার ফলে তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে লোকবল পাঠিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও অলিখিত সমঝোতা ছিল। যদিও কখনো বসে পরিকল্পনা করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের কর্মসূচি ধাপে ধাপে এগিয়েছে। তিন তারিখে শহীদ মিনারে এক দফার বাইরে অন্য কিছু বলার সুযোগ ছিল না, কারণ জনগণের চাওয়া তখন একটাই ছিল— সরকার পতন। পাঁচ তারিখের গণভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ছিল না, ছিল ‘লং মার্চ টু ঢাকা’। তবে ঢাকায় এসে জনগণ সিদ্ধান্ত নেয় কী করতে হবে। আমরা কেবল তাদের সঙ্গে থেকেছি।’

আন্দোলনের কৌশল সম্পর্কে এই নেতা বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তদন্তকারীরা হতাশ হয়ে যায়, কারণ আমার কাছে আন্দোলন সংক্রান্ত অনেক তথ্যই ছিল না। আন্দোলনের সময় বিএনপি বা ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গেও আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। মূল যোগাযোগ করেছিল আসিফ, পরে তাকেও তুলে নেওয়া হয়। তবে মূল লক্ষ্য ছিল আমাকে আটক করা, কারণ আমি দৃশ্যমান ছিলাম।’