মার্কিন অভিবাসী আটককেন্দ্রে আর বন্দি ধারণক্ষমতা নেই। অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ বা আইসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার (১২ মার্চ) জানিয়েছেন, এখন সবমিলিয়ে ৪৭ হাজার ৬০০ মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আরও বন্দি রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ, মার্কিন মার্শাল সার্ভিস এবং কারা কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন আইনজীবীদের সহায়তায় বাড়তি বন্দিদের জন্য অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে গড়পড়তা ৪১ হাজার ৫০০ বন্দিকে আটক রাখার মতো অর্থ পেয়ে থাকে আইস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি অঙ্গীকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট ছিল যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া। ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্ত সম্রাট হিসেবে পরিচিত টম হোমান বলেছেন, ব্যাপক বহিষ্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে তাদের প্রায় এক লাখ বন্দিকে রাখার মতো ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসীদের আটক করার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে আইস। সেই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার ব্যক্তিকে আইস আটক করেছে যাদের অন্তত ২৭ শতাংশের কেবল অভিবাসন আইন লঙ্ঘন ছাড়া কোনও অপরাধের যুক্ত থাকার অভিযোগ পর্যন্ত নেই।
বাইডেন আমলে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর ছিল না- এমনটা ভাবার কারণ নেই। শেষ অর্থবছরে বাইডেন প্রশাসন মোট এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ ব্যক্তিকে আটক করেছিল বলে আইসের নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে।