সালিশ চলাকালে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, সাবেক সেনা সদস্য আটক

 

chardike-ad

 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘের সংক্রান্ত বিরোধের একটি সালিশ চলাকালীন মহিউদ্দিন মহারাজ (৫০) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সেনা সদস্য মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাই শওকত আলী জোমাদ্দার (৫৫)।

শনিবার (১ মার্চ) সকালে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের সামনে থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান।

এ আগে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিউদ্দিনকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

নিহত মহিউদ্দিন বরইতলা গ্রামের আবুবকর জোমাদ্দারের ছেলে। তার স্ত্রী ও ৪ সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, চার বিঘা জমির একটি চিংড়ি ঘেরের মধ্যে মিজানুর রহমান কিছু জমি পাবেন বলে দাবি তোলেন। এক পর্যায়ে থানায় ঘের দখলের অভিযোগ দেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য লক্ষীখালী ফাঁড়ি পুলিশের ওপর দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমান শুক্রবার দুই পক্ষকে কাগজপত্র ও মাতব্বরদের নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে এসআই সাইদুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় উভয়পক্ষ ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা মহিউদ্দিন ও তার বড় ভাই শওকত জোমাদ্দারসহ চার-পাঁচজনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। আহত দুই ভাইকে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে দিবাগত রাত ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

এ বিষয়ে ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, ফাঁড়ির ইনচার্জ না থাকায় উভয়পক্ষ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। মারধরে আহত মহিউদ্দিন মহারাজ মারা গেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।