তদন্ত সাপেক্ষে টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

 

chardike-ad

তদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির ক্যাবিনেট মন্ত্রী পিটার কাইল। রোববার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, রোববার স্কাই নিউজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন পিটার কাইল। সেখানে তিনি বলেন, স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

এ সময় টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সংসদীয় তদন্ত দাবি করে সঠিক কাজ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন পিটার কাইল।

তিনি বলেন, আমি মনে করি টিউলিপ ঠিকই করেছেন। তিনি নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। সেই তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। আপনারা জানেন, তদন্ত সাপেক্ষে কিয়ার স্টারমার অবশ্যই কর্তৃপক্ষের কথা শুনবেন।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পূর্ণভাবে সঠিক কাজ করেছেন এবং তার ওপর আমার আস্থা রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডেনচ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, তিনি তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে টিউলিপ নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।

টিউলিপ সিদ্দিককে পদচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডেনচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, কিয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে পদচ্যুত করার এখনই সময়।

একই সুরে টিউলিপের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন শ্যাডো চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইডও। তিনি বলেছেন, টিউলিপ দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

মেল স্ট্রাইড আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে তার পক্ষে এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা কঠিন। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।

অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (তার খালা) শাসনামলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে একাধিক ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্তের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে গত সোমবার এক চিঠি লেখেন টিউলিপ সিদ্দিক।

সেই চিঠিতে তদন্ত শুরুর অনুরোধ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, আমি কোনো ভুল করিনি।

এ নিয়ে সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের সম্পত্তিগুলো তদন্ত করা উচিত। যদি তিনি সেগুলো প্লেইন ডাকাতি (সোজা ডাকাতি) করে অর্জন করে থাকেন, তবে তা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাইতে এবং পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, টিউলিপ নিজে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হয়ে নিজেকে রক্ষা করছেন। হয়তো আপনারা তখন বুঝতে পারেননি, কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন।