পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া এলাকার সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংহতির নেতা ও চালকরা। পরে পুলিশ গিয়ে আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক সচল করে।
শহরের থান কাপড় এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্সে কিছু মালামাল আছে বলে জানায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্যানচালক সেখানে গেলে ভ্যানের লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও রেকার বিলের নামে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, ‘ভুক্তভোগী ভ্যানচালক আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা পুলিশের কাছে জরিমানার বিষয়টি জানতে চাই। পরে জরিমানার টাকা ফেরত দেয় পুলিশ। তারা যদি ন্যায়সঙ্গত কারণে জরিমানা করত এবং তা সরকারি কোষাগারে জমা হতো তাহলে সে টাকা ফেরত দেয় কীভাবে? এখনো পুলিশ নানাভাবে চাঁদাবাজি করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাসির আহম্মেদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদি অবৈধভাবে কিংবা অন্যায় কাজ করে থাকে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব। আর রেকার বিল যদি অবৈধভাবে নেওয়া হয় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, জেলা ব্যাটারিচালিত ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংহতির জামাল সর্দার, রনি সর্দার, মান্নান সর্দার, ফরিদ মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. শরীফ, মো. আইয়ুব, মো. রনি প্রমুখ।
খবর: কালবেলা