Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

 

ঢাবি অধ্যাপককে পুনর্বহালের দাবিতে কেন প্রতিবাদে আইএমএল শিক্ষার্থীরা

chardike-ad

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংরেজি ভাষা প্রোগ্রামের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানকে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার দাবিতে এবং ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবসার কামালকে অব্যাহতির দাবীতে কিছুদিন ধরেই প্রতিবাদী করছে ওই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবীগুলো পূরণে সমাধান চান।

কেন ইংরেজি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমুখর 

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংরেজি ভাষা প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন ‘অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানকে যেসব অভিযোগে অব্যাহতি দেটা হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন। আইএমএল এর  ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবসার কামাল প্রশাসনকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন।  এছাড়াও পতিত সরকারের দোসরদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন। যা শিক্ষক রাজনীতির সিন্ডিকেটে রূপ নিয়েছে। এবং শিক্ষক রাজনীতির জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে’।

 

গতকালকের প্রতিবাদ ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংরেজি ভাষা প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রথমে আইএমএল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সাইদ স্যারের কিছু হলে জ্বলবে আগুন IML-এ’, ‘শিক্ষক রাজনীতির বলিদান Students এর career’  প্ল্যাকার্ড হাতে ‘দফা এক দাবি এক, সাইদ স্যারের কামব্যাক’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না’ স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘শিক্ষার্থীরা এর আগে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে মৌখিকভাবে ও সাক্ষাতে ড. সাইদুর রহমানকে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার দাবি জানায় এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসন তাদেরকে বারবার দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও সত্যানুসন্ধানের দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। প্রশাসনের প্রায় চার মাস যাবত কালক্ষেপণ ও কোন সমাধান না দেওয়া শিক্ষার্থীদের মনে প্রশাসন ও সত্যানুসন্ধান কমিটির কাজের ব্যাপারে অনাস্থা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে প্রশাসনের বিরত রাখার পদক্ষেপের সুযোগ নিয়ে সুযোগসন্ধানী ও স্বার্থান্বেষী মহল বর্তমান ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবসার কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ভুল তথ্য দিয়ে রেখেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবসার কামাল আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, যাতে করে প্রশাসনের মনে এ ধারণা উদ্ভূত হয়েছে যে ইনস্টিটিউটে জটিল পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্কের উন্নয়ন দৃশ্যমান নয়।’

 

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর আগামী শনিবার এ সমস্যা ইতিবাচকভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. নিয়াজ আহমদ খান। এবং শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে রোববারের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে সমাধান না হলে সেদিনই প্রেস কনফারেন্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিকে বিস্তারিত জানানো হবে।