গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী (জরুন) এলাকায় কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ১ মে থেকে কারখানাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জরুন এলাকার কেয়া গ্রুপের কারখানা গেটে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কেয়া গ্রুপের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিমিটেডের (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার জন্য আগামী ১ মে থেকে ফ্যাক্টরির সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সব শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২-এর বিধি অনুযায়ী সব পাওনাদি কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ি কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে এসব কর্মসূচি পালন করেন। সেদিন বেতন না দিয়ে বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন।
ওইদিন যৌথ বাহিনীর সহায়তায় মালিক-শ্রমিক পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেয় মালিক পক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকায় ১ জানুয়ারি কারখানা খুলে দিয়ে নতুন করে বন্ধের ওই নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরির উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার কারণ দেখিয়ে আগামী ১ মে থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি ধাপে শ্রমিকদের সব পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে।