অর্থমন্ত্রী চোই সাং মোককে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হলো। চলতি মাসের গোড়ায় দেশে সামরিক (মার্শাল) আইন কার্যকরের সুপারিশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল।
পার্লামেন্টের এমপিরা তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) শুরু করায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল হান ডাক-সুকে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিই কোরিয়ায়। উল্টো ফের হানকেও সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পার্লামেন্টে। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা পার্ক চ্যান দায়ে বলেন, ‘হান নিজেকে একজন ভারপ্রাপ্ত বিদ্রোহী হিসেবে প্রকাশ করেছেন, একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়।’
ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত বিচারপতিদের সাংবিধানিক আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে হান অস্বীকৃতি জানানোর পর তাকে সরাতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায় বিরোধীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে দেশের দ্বিতীয় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক। বিরোধীরা আরও অভিযোগ করেছে, ৩রা ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করার প্রচেষ্টায় ইউনকে সহযোগিতা করেছেন হান।
চোই সাং- মোক অবশ্য বিশ্বাস করেন, দেশের এই অশান্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার সব রকমের চেষ্টা করবেন তিনি। ৬১ বছরের চোই ‘সোল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুল’ থেকে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করেছেন। বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত।
ইউনের মন্ত্রিসভাতেও তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকছেন চোই’র ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চোই। ইতিমধ্যেই তিনি ‘এফ-৪’ অর্থাৎ একাধিক আর্থিক বিষয়ক দপ্তরের নেতৃত্বে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মুখ না ফিরিয়ে নেন, সেদিকে নজর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চোই সাং-মোক।
সূত্র : রয়টার্স