রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনের দুঃসময়ে কাজ করা ত্যাগী নেতাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কমিটিতে ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ইমাম হোসেনকে আহ্বায়ক এবং সেলিম রেজাকে ২০০৮-০৯ সেশনের সদস্য সচিব করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা ক্যাম্পাসের নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।
পদবঞ্চিত সাবেক এক ছাত্রনেতা নুরুদ্দিন হোসাইন জিসান। যিনি ইতিপূর্বে কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ভাই ভাই রাজনীতি আর লবিং এই দুইটিই এখন বড় শক্তি। ত্যাগ ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন সময়মতো কখনো হয়নি, আর হবেও না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক কমিটির এক সহ-সম্পাদক জানান, নতুন কমিটিতে যারা এসেছে, তাদের ছাত্রত্ব আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারা অনেকেই বাবার বয়সী বা চাচার বয়সী। এসময় তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ করে বলেন, এই কমিটি ভেঙে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দ্বারা একটি কমিটি গঠন করুন, যা ক্যাম্পাসমুখী রাজনীতির জন্য কার্যকর হবে। এই কমিটি বহাল থাকলে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ছাত্ররাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ে পড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের সাবেক কমিটির আরেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, তিতুমীর কলেজ আহ্বায়ক কমিটি হলো ‘ভাই কমিটি’। ২৪ তারিখের গণঅভ্যুত্থানে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যারা রাজপথে সক্রিয় ছিল, তাদের যথাযথভাবে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভাই কমিটি। এখানে যোগ্যতার কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ২৪ তারিখের গণঅভ্যুত্থানে তরুণরাই দেশ স্বাধীন করেছে। অথচ এই কমিটিতে এমন সিনিয়রদের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে, যাদের আমাদের মতো নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।