সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতায় প্রেমিক-প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আরেক প্রেমিক আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বগুড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন হৃদয় কর্মকার (৩০)। তিনি সিরাজগঞ্জের গাড়াদহ এলাকার বাসিন্দা এবং বগুড়ায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) হৃদয় কর্মকারের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন সুদীপ্তা দাস কেকা (২৬)। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হৃদয় কর্মকার বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সুদীপ্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে সুদীপ্তাকে তিনি বুঝতে দেননি যে তিনি বিবাহিত। হৃদয়ের কর্মস্থল বগুড়ায় হওয়ায় সুদীপ্তা মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে দেখা করতেন। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে তৃতীয় প্রেমিকের আবির্ভাব হয়। তার নাম আসাদ (২৭)। আসাদ সুদীপ্তার সঙ্গে গান করতেন। ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবু সাঈদ বলেন, দুটি আত্মত্যার ঘটনায় পরিবারের কেউ মুখ খুলছেন না। তবে আমরা জানতে পেরেছি, কণ্ঠশিল্পী কেকার সঙ্গে দুই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমের কারণে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হওয়ায় বিবাহিত হৃদয় কর্মকার আত্মহত্যা করেছেন। আর সেটি জানার পরই প্রেমিকা কেকাও আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আরেক প্রেমিক আসাদ আত্মগোপনে রয়েছেন। আমরা সব দিক বিবেচনায় নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছি।’
সূত্র: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস