Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন

 

chardike-ad

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সব থেকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা। দিনের বেলাতেও লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন।

জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, লঘুচাপের কারণে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার উপস্থিতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ধেয়ে আসা শীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রোববার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর রসুলপুরের বাসিন্দা শাহিনা বেগম বলেন, হাত-পাও ঠান্ডাতে শীত লাগছে। ছোট নাতিটার ২ দিন থেকে জ্বর-সর্দি। শীতে কাজ করা খুব কষ্ট।

পাশের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডাতে কাজ করা খুব মুশকিল হয়ে গেছে। ২ দিন থেকে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না।

নাগেশ্বরীর কৃষক শাহ আলম বলেন, ঠান্ডায় হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থা। জমিতে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। শীতবস্ত্রের অভাবে খুবই কষ্টে আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া লঘুচাপ সরে গেলে তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হবে এবং একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীত নিবারণের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।