নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
প্যাটেল বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে তাঁরা স্বাগত জানান। এটি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকে তাদের নিজস্ব সরকারি প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে।
এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করবে বলে জানান প্যাটেল। তিনি বলেন, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি সম্মান দেখানো হবে বলেও আশা করে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে একটি উত্তরণ কার্যকর হয়।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গত সোমবার বলেছেন, আগামী বছরের শেষ দিক বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তিনি দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী ভারতে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আটকসহ কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার অভিযোগ আছে।
প্যাটেল বলেছেন, সম্প্রতি একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে (গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন) উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা ও অন্যান্য সাবেক কর্মকর্তা গুমের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন। এই প্রতিবেদনের তথ্য জেনে যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
প্যাটেল বলেন, এসব অপরাধ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে তাঁরা স্বাগত জানান। ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান, সে জন্য তাঁরা ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করেন।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।