Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উপদেষ্টা মাহফুজের সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন

 

chardike-ad

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার ভারতের আসাম-ত্রিপুরাসহ ভারতের কিছু অংশ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। যদিও সেই স্ট্যাটাসটি তার ওই ভেরিফায়েড আইডিতে এখন আর নেই। তবে তার সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি ড. ইউনূসের প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামসহ ভারতের অংশবিশেষকে নিয়ে একটি বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। তার এ ধরনের মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। মার্কিন সরকার এই বিবৃতিটিকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখে কিনা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তার এমন মন্তব্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি আমাকে যা পড়ে শোনালেন এর বাইরে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সাধারণ নিয়মানুসারে আমি যে বিষয়টি দেখিনি তা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

ব্রিফিংয়ে আরও প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সরাসরি কোনো উত্তর অবশ্য দেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ভাগ্যকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র?

জবাবে ম্যাথিও মিলার বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সংঘাত এবং এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে উদারতা দেখিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের যারা দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।