সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। জানা যায়, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোটি টাকা আছে এমন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ও পরিমাণ দুই-ই কমেছে। তবে ব্যক্তিগত আয় না থাকলেও গৃহিণীদের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমানত বাড়ছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে তাদের আমানত বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে গৃহিণীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২২৩ কোটি টাকা; চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২১৫ কোটি টাকায়।
আয়কর ফাঁকি থেকে শুরু করে স্বামীদের টাকা পাচারে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে গৃহিণীদের নাম ব্যবহার হয় বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, একটি হিসাবে টাকা থাকলে আয়করের চাপ বেশি পড়ে। তাই শুরু থেকেই মানুষ টাকা ভিন্ন ভিন্ন হিসাবে ভাগ করে রাখেন। এক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে বা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন স্ত্রীকেই।
তবে শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা কমেছে সাড়ে তিন লাখ। আবার কাজে যুক্ত আছেন এমন নারীদের ৪০ শতাংশই গৃহিণী, যাদের নিজস্ব আয় নেই। তাই গৃহিণীদের নামে থাকা আমানত যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক ও অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক ও করের তথ্যের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে হবে। দেশের কোনো একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার তথ্যের মিল পাওয়া যায় না। এতে বাড়ছে কর ফাঁকি ও দুর্নীতির সুযোগ। গৃহিণীদের নামে থাকা আমানতও যাচাই-বাছাই করতে হবে।
এদিকে, কর্মজীবী পুরুষের তুলনায় একজন কর্মজীবী নারী প্রায় ৫ শতাংশ কম বেতন পান বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ শ্রমশক্তি জরিপ।