দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ভারত থেকে এলো ১১৭১ টন পেঁয়াজ। আমদানি বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে হিলিতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। হিলি বন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে সেই পরিমাণ বেড়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) একদিনেই বন্দর দিয়ে ৪০টি ট্রাকে এক হাজার ১৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য তাই আমদানির সঙ্গে সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টগণ বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করলে দ্রুত খালাস দেওয়া হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নগর ও নাসিক এই তিন জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। একদিন আগেও বন্দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে তা কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে ক্রেতাদের চাহিদামতো সরবরাহ করে থাকি। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরেই দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। একদিন আগেও আমরা বন্দর থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনে মোকামে পাঠিয়েছিলাম। সেই পেঁয়াজ এখন দাম কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমেছে। তবে দেশীয় নতুন পাতাপেঁয়াজ ওঠার কারণে মোকামগুলোতে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কম লক্ষ করা গেছে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। তবে ভারতের বাজারেই সরবরাহ কমের কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে বাড়তি দামে কেনায় দেশেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। তবে বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে করে সে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্দরের ছোট-বড় সব আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন। এর ফলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আমদানির পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। যার কারণে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা নিম্নমুখী।’