সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গেছে। বিদ্রোহীদের দখলে এখন দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার গণমাধ্যম সূত্রে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের বিজয়ের পর ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংকবহর সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে একের পর এক শহর দখল করে বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী কুনেইত্রা ও দারা দখলের পর ইসরায়েল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। গোলান মালভূমি থেকে ইসরায়েলি ট্যাংক সিরিয়ার সীমানা অতিক্রম করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জাতিসংঘ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী হাদের শহরে অতিরিক্ত স্থল ও বিমান সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গোলান মালভূমি থেকে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপের খবরও পাওয়া গেছে, যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সিরিয়ার অভ্যন্তরে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি সংঘর্ষ হলে এটি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
সিরিয়ার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নতুন এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।