নিজের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। গ্রেপ্তারের তালিকায় প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ুং এবং তিন বিরোধী আইনপ্রণেতাও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
পরিচালক হং জাং-উন বলেন, প্রেসিডেন্ট এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন।
ভারতের সঙ্গে তখনই বন্ধুত্ব হবে যখন আমাদের সম্মান করবে: ডা. জাহিদভারতের সঙ্গে তখনই বন্ধুত্ব হবে যখন আমাদের সম্মান করবে: ডা. জাহিদ
বিবিসি জানায়, শুক্রবার সারাদিন দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো জরুরি বৈঠকের পর এমপিরা ইয়ুনকে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটির পরিকল্পনা করছেন। শনিবার অনুষ্ঠেয় প্রস্তাবটি পাস হবে যদি দুই-তৃতীয়াংশ এমপি এর পক্ষে ভোট দেন।
৩০০ আসনের পার্লামেন্টে বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও অভিশংসন প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ২০০ ভোট নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের অন্তত ৮ এমপির সমর্থন প্রয়োজন।
তার নিজের দল এখন বিরোধীদের সাথে ভোট দিতে পারে এমন বার্তাও পাওয়া গেছে। শুক্রবার ইয়ুনের ক্ষমতাসীন দলেরই এক নেতা তার দ্রুত বরখাস্তের আহ্বান জানান। ওই নেতা বলেন, ইয়ুন ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ হবে।
পিপলস পাওয়ার পার্টির (পি) প্রধান হান ডং-হুন সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, তার দল বিরোধীদের অভিশংসন প্রস্তাব সমর্থন করবে না। তবে শুক্রবার তিনি ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার ‘রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগে’ ইয়ুন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে।
হান বলেন, সিউলের দক্ষিণে শহর গোয়াচিয়নের একটি আটক কেন্দ্রে গ্রেপ্তারকৃত রাজনীতিবিদদের কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন ইয়ুন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইয়ুন ক্ষমতায় থাকলে সামরিক আইন ঘোষণার মতো ‘চরম পদক্ষেপের’ পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইউল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিমের পরামর্শেই ইয়ুন সামরিক আইন জারি করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।