Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

 

chardike-ad

 

দিন দিন ঢাকার বাতাস ভয়ংকর দূষিত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শীত এলেই বাতাসের মান আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চলতি বছর শীতের শুরুতেই টানা কয়েকদিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। আজ বুধবার সবাইকে ছাড়িয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে এসময় ঢাকার স্কোর ২৫৯।

বায়ুর এই মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২৪১ স্কোর নিয়ে ২য় স্থানে অবস্থান করছে মিশরের রাজধানী কায়রো। অন্যদিকে ১৮৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ৩য় স্থানে অবস্থান করছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করেছে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

বায়ুদূষণে ৪র্থ‌, ৫ম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি, ভারতের কলকাতা ও দিল্লি। শহর ৩টির স্কোর যথাক্রমে ১৮৪, ১৭৯ ও ১৭২। এই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।