রংপুর নগরের একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটটার দিকে মাদ্রাসাটির একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
শিশুটি ওই মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ছিল এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (আবাসিক ভবনে) থাকত।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গতকাল বিকেলে মাদ্রাসাটির মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এরপর মাগরিবের নামাজের সময় তাকে মসজিদে দেখা যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির নির্মাণাধীন এক ভবনের তিনতলার বাথরুমে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
শিশুটির বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাত-নির্যাতনের অনেক চিহ্ন আছে, ঘাড় মটকে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম মিয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির শরীরে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তাঁর ব্যবহৃত পায়জামাতেও ধর্ষণের নমুনা আছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মাত্র তিন সপ্তাহ আগে শিশুটিকে মাদ্রাসাটির লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ভর্তি করানো হয় বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাঁকে ফোন করে শিশুটির অসুস্থতার খবর জানান। সেই সঙ্গে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গেলে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। পরে মাদ্রাসা কমিটির লোকজন জানান, তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
নগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আগেও ওই মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সব কটি ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।