অপার সম্ভাবনা থাকার পরও নীতি সহায়তার অভাবে বিকশিত হচ্ছে না দেশের প্রসাধনী শিল্প। আমদানি পণ্যের তুলনায় দেশীয় পণ্যে বাড়তি শুল্কের কারণে অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। স্থানীয় শিল্পের বিকাশে আলাদা নজর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
ধনী, গরিব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষেরই প্রসাধনী পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। দেশে বেড়েছে প্রসাধনী সামগ্রীর বাজারও। তারপরও প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে মানসম্পন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন প্রসাধনী পণ্য পেতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের নীতি সহায়তা দিতে হবে। দেশে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উৎপাদন বাড়াতে কাঁচামাল আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সম্পূরক শুল্ক।
একজন উদ্যোক্তা বলেন, ‘প্রসাধনী শিল্পে যদি নতুন উদ্যোক্তাদের আনতে হয় তাহলে ভূমিকাটা পালন করতে হবে সরকারকে। আর তাদের প্রতি আলাদা একটি নজর দিতে হবে।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি কমিয়ে প্রসাধনী খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিলে সামগ্রিক অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের। অর্থনৈতিক খবরের সাবস্ক্রিপশন
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্প স্থাপন থেকে শুরু করে প্রথম ৫ বছর তাদেরকে আয়করের ক্ষেত্রে যদি অবকাশ দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে তারা তাদের ইন্ডাস্ট্রিটাকে গুছিয়ে নিতে পারবে। অনেক উদ্যোক্তা এখানে কাঁচামাল সরবরাহ থেকে শুরু করে ফাইনাল প্রোডাক্ট পর্যন্ত তৈরি করায় তারা আসতে পারে এবং বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে।’
ট্যারিফ কমিশনের হিসেবে, দেশে প্রসাধনী খাতের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার।