বাজারে পাঁচ শতাধিক প্রসাধনী বিক্রি হলেও বেশিরভাগেরই মান নির্ণয় করতে পারেনি তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এ সুযোগে অবাধে নকল ও ভেজাল প্রসাধনী বিক্রি করছে অসাধু বিক্রেতারা। প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। তাই, বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)।
প্রসাধনীর বাজার রমরমা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ব্র্যান্ড, নন-ব্র্যান্ড, দেশি-বিদেশি হাজারো পণ্য। তবে এসব পণ্যের কোনটা আসল, আর কোনটা নকল সে বিষয়ে নিশ্চিত নন অনেকে। প্রতিনিয়ত ভেজাল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাজারে পাঁচ শতাধিক রূপ চর্চার কসমেটিকস বিক্রি হলেও বেশিরভাগেরই মান ঠিক নেই। বিএসটিআই মান নির্ণয় করতে পেরেছে মাত্র ৩৬৭টি পণ্যের। ভেজালের অভিযোগে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের রং ফর্সাকারী ক্রিম ও একটি লোশন নিষিদ্ধ করেছে। নজরদারির বাইরেই অনেক ক্ষতিকর প্রসাধনী পণ্য।
বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন সরকার বলেন, ‘২৯টি পণ্য বিএসটিআই থেকে সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে কিছু কিছু পণ্য রয়েছে। কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলো মেডিকেটেড সেবা প্রদান করে, কিছু পণ্য আছে ওষুধ প্রসাধনী সামগ্রীর নিয়ন্ত্রণে। এই পণ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা কোনো তথ্য দিতে পারব বলে মনে হয় না।’
নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান হলেও প্রসাধনী খাতে তদারকি কম, বলছে ক্যাব। এরই সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কারসাজি রোধে কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার তাগিদ তাদের।
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি যে বিএসটিআই সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এগুলা দেখভালের দায়িত্বে আছে। তাদেরকে আসলে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রগুলোতে তদারকি করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে নকল কারখানা ছড়াছড়ি আমরা দেখেছি, এই জায়গাগুলোও তদারকি রাখা দরকার এবং এগুলা বন্ধ করা দরকার।’